— Collected, Miscellaneous — 1 min read
মীর্জা গালিব একদিন মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। মুসল্লীরা তাকে বাধা দিলো। তারা বললেন,
মসজিদ খুদা কা ঘর হ্যায়,
পিনে কে লিয়ে নেহি"।
অর্থ - মসজিদ খোদার ঘর, পানশালা নয়।
গালিব তাকালেন মুসল্লীদের দিকে। তারপর আরেক চুমুক খেয়ে আওড়ালেন—
শরাব পিনে দে মসজিদ মে ব্যায়ঠ কার,
ইয়া ও জাগা বাতা যাঁহা খুদা নেহি।"
আমাকে মদ খেতে দাও, মসজিদে বসেই। নাহয় এমন জায়গা দেখাও যেখানে আল্লাহ নেই।
মুসল্লীরা লা জবাব। কি জবাব দেবেন! খোদা নাই এমন জায়গার কথা বলা শক্ত বইকি!
তবে জবাব দিলেন আল্লামা ইকবাল বহু বছর পর তার শের দিয়ে। তখন মীর্জা আর বেঁচে নেই।
ইয়া গালিব, মসজিদ খুদা কা ঘর হ্যায়
পিনে কি জাগা নেহি,
কাফির কে দিলমে যা
ওঁয়াহা খুদা নেহি”।
হে গালিব, মসজিদ খোদার ঘর পানশালা নয়। কাফেরের দিলে যাও সেখানে খোদা নাই।
আহমদ ফারাজ নামের আরেকজন কবি এর প্রতিউত্তর লিখলেন৷
কাফির কে দিল সে
আয়া হু দেখ কার
খুদা মওজুদ হ্যায় ওঁয়াহা
উসসে পাতা নেহি”
কাফিরের মনে উঁকি দিয়ে এসেছি দেখে। সেখানেও আল্লাহ আছেন, কিন্তু সে কাফির তা জানে না।
তার জবাবে কবি ওয়াসি লিখলেন,
খুদা তো মওজুদ
দুনিয়া মে হার জাগা
তু জান্নাত মে যা
ওঁয়াহা পিনে সে মানা নেহি”
খোদা তো দুনিয়ার সবখানেই উপস্থিত আছে। তুমি জান্নাতে যাও, ওখানে মদ খেতে বাধা নেই।
এরপর সাকি লিখলেন,
পীতা হুঁ সাকি গাম-এ-দুনিয়া ভুলানে কে লিয়ে
জান্নাত মে কৌন সা গাম হ্যায়?
ইসি লিয়ে ওঁয়াহা মাজা নেহি।"
আমিতো পান করি দুনিয়াতে দুঃখ ভুলে থাকতে। কিন্তু জান্নাতে কিসের দুঃখ? তাই ওখানে মদ খেয়ে মজা নেই।
গল্পটি সংগৃহীত। সত্য মিথ্যার ব্যাপারে সন্দেহ রয়েছে।
বিশেষ দ্রব্যষ্টঃ মদ ও নেশা আনয়নকারী বস্তু ইসলামি শরীয়তে হারাম এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট ১০ শ্রেনীর মানুষ জাহান্নামে যাবে। এ বিষয়ে অন্য এক পোস্টে আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ।